অনলাইনের মাধ্যমে চাল ডাল ক্রয় করতে ওয়ালী বাজার.কম অনন্য।
রচনা: ভূমিকা: অনলাইনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার জন্য আমার প্রথম পছন্দ “চাল-ডাল ডট কম”। বলা যায় প্রথম থেকেই তাদের নিয়মিত ক্রেতা আমি। তাদের সার্ভিসে আমি সন্তুষ্ট। রাজধানীর নির্দিষ্ট এরিয়াগুলোতে মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যে পণ্য সরবরাহ করে তারা। ইতিহাস: এমনও হয়েছে যে, প্রথমদিকে ৩০ মিনিটের মধ্যেও পণ্য হাতে পেয়েছি। আবার এমনও হয়েছে যে, ১ ঘন্টার বদলে ৩/৪ ঘন্টা পর পণ্য হাতে পেয়েছি। ঢাকার রাস্তায় জ্যামের কথা চিন্তা করে দেরী করে দেয়ায় কিছু মনে করিনি।
গুণাগুন: চাল-ডালের কার্যক্রম শুরু হয় প্রতিদিন সকাল ৮টায়। সেজন্য বেশিরভাগ সময় রাতে অর্ডার করি, যাতে সকালের প্রথমার্ধেই প্রোডাক্ট হাতে পাই। ফলে এক ঘন্টার মধ্যে যে পণ্যগুলো ডেলিভারী পাবার কথা তা স্বভাবতই সকাল ৯টার মধ্যেই বা খুব বেশি হলে ১০ টার মধ্যেই তো পাবার কথা। তবে নির্দিষ্ট সময়ে প্রোডাক্ট দিতে দেরী হলে কখনো তারা জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। তবে এবারের অর্ডারের ক্ষেত্রে দেখলাম ৮টা বাজার ১১ মিনিট আগেই মেসেজ করে তারা জানিয়েছে যে দেরী হবে। আরো মজার ব্যাপার হলো সকাল সাড়ে ৯টাতেই কিন্তু সব পণ্য হাতে পেয়েছি। ফলে মাত্র ৩০ মিনিট দেরীর জন্য তারা আগেই জানিয়েছে, যেটা না জানালেও পারতো। কারণ এর আগে তো এর চেয়ে অনেক দেরী হলেও তো কখনো জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। বিবরণ: তাহলে কি এমন ঘটলো যে তারা এতো নিয়মমাফিক কাজ শুরু করলো? যারা নিয়মিত খবরাখবর রাখেন তাদের হয়তো জানা থাকবে কিছু দিন আগেই ভোক্তা অধিদপ্তরে করা দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে চাল-ডালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দুটি অভিযোগের মধ্যে একটি ছিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য দেবার কথা থাকলেও ক্রেতাকে না জানিয়েই দেরীতে দেয়া। ফলে চাল-ডাল হয়তো একারণেই দেরীর আগেই মেসেজ করেছে বলে অনুমান করছি। এ পোস্টটা দেবার কারণ হলো, চাল-ডালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কারণে বিভিন্ন ফেসবুকার সে সময় দেখেছি অভিযোগকারীকে ধুয়ে দিতে। কেন এরকম একটি স্টার্টআপ বিজনেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা, কেন তার সহ্য ক্ষমতা কম… ইত্যাদি। তবে চাল-ডালের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ বা জরিমানা করা না হলে আজ এরকম মেসেজ হয়তো নাও পেতাম। হয়তো আরো দেরী করে পণ্য হাতে পেলেও কিছুই করার থাকতো না। একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরী যে, যে কোন ক্ষেত্রেই যদি জবাবদিহিতার জায়গা না থাকে তবে সেটির পতন অনিবার্য। ফলে কোন সিস্টেমকে টিকিয়ে রাখতে হলে জবাবদিহিতা জরুরী।
উপসংহার : দয়া ও ক্ষমা প্রদর্শন মহৎ গুণ। তবে সেটির কারণে যাতে কোন সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেটিও মনে রাখা জরুরী। চাল-ডালের মতো এতো সুন্দর একটি স্টার্টআপকে টিকিয়ে রাখাটাও যে আমাদের দায়িত্ব। একজন ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে চাল-ডালের যে আর্থিক ও সুনামের ক্ষতি হয়েছে সেটি অস্বীকার করা যাবে না। তবে এতে করে তারা যে আরো সতর্কভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবে সেটিও অন্যতম। আর এটিই হচ্ছে ব্যবসায় সফলতার মূল সূত্র।Md Milon Mahamud Mia