সূচনা : ভিডিও শেয়ার করার একটি সামাজিক মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউব কি এই প্রশ্নের এক কথায় উত্তরটি আমরা সবাই জানি। ২০০৫ সালে যখন ইউটিউব যাত্রা শুরু করেছিল তখন এর সংজ্ঞা দিতে ঐ একটা বাক্যই হয়ত যথেষ্ট ছিল। এখন ইউটিউবে শুধু শেয়ার করা না, ভিডিও ক্লিপ, সিনেমা, গান, ডকুমেন্টরি এবং আরো নানা ধরণের ভিডিওর বিশাল একটি আর্কাইভে পরিণত হয়েছে। গুগোলের অংশ হওয়ার পর থেকে হোস্টেড এডসেন্সের মাধ্যমে এড দেখিয়ে এখান থেকে অর্থ উপার্জনও করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের এক শ্রেণীর নতুন ইউটিবাররা অর্থ উপার্জনের চক্করে পড়ে ইউনিক এবং ভালো মানের কন্টেন্ট নির্মাণের বদলে মাণহীন এবং কোনক্ষেত্রে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ এবং কপিরাইটেড কন্টেন্ট নিজের কন্টেন্টের সাথে মিশিয়ে প্রচার করছেন । বর্ণনা: ইউটিউব কি সেটা তো জানলেন। এবার দেখে নেয়া যাক, ইউটিউবের মাধ্যমে কি কি করা যায়-
১. একটি একাউন্ট খুলেই ১৫ মিনিটের ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। আর একাউন্ট ভেরিফাই করে 20GB এর চেয়ে বড় ভিডিও ফাইলও আপলোড করতে পারবেন। এজন্য খুব সহজে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভেরিফাই করতে পারবেন।
২. ভিডিও এডিট করার সুবিধাও ইউটিউব দেয়। ফ্রী অনলাইন ভিডিও এডিটর হিসেবেও ইউটিউবকে ব্যবহার করা যায়। Youtube Video Creator দিয়ে অনলাইনে নতুন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এখানে ফ্রী মিউজিক লাইব্রেরীও আছে।
৩. ভিডিওটি আপনি কাকে দেখাবেন আর কাকে দেখাবেন না সেটা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। আপনি যদি চান আপনার ভিডিও লিংক যার কাছে আছে সেই শুধু দেখবে, অন্যরা দেখতে পাবে না। তাহলে সেটাও করা যায়। Rabitholebd এপে সম্ভবত এই ভাবে ক্রিকেট খেলা লাইভ দেখায়। অনেক ইউটিউব ইউজার আছে যারা ইউটিউবে এডাল্ট ভিডিও খোজে। হ্যাঁ, এডাল্ট ভিডিও ও ইউটিউবে আছে তবে Age restricted, লগ ইন করা না থাকলে এই ধরণের ভিডিও দেখা যাবে না। আপলোড করার সময়ও ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন।
৪. ভিডিওতে সাবটাইটেল যুক্ত করতে পারেন। অন্যসব সাবটাইটেলের চেয়ে ইউটিউবের সাবটাইটেলের সুবিধা হচ্ছে- Google Translator এর মাধ্যমে যেকোন ভাষায় পড়তে পারবেন। বিশ্বের যে কারো কাজে লাগবে এমন ভিডিও তৈরি করলে ভিডিওটি বাংলায় হলেও চেষ্টা করুন এর ইংরেজী সাবটাইটেল যুক্ত করতে।
৫. এখন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বিকল্প হয়ে দাড়িয়েছে ইউটিউব চ্যানেল। প্রফেশনাল ভিডিও নির্মাতারা ইউটিউব চ্যানেলে ভেরিফাইড চিহ্ন লাগিয়ে নিতে পারবেন। সাধারণত 100k সাবস্ক্রাইবার হলে সহজে এই চিহ্ন যুক্ত হয়, কম হুলেও হতে পারে।
৬. 100K সাবস্ক্রাইবার হলে Silver Play button পেতে পারেন। এছাড়া Golden, Diamond, Ruby button রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশের কেউ পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছে বলে শুনিনি।
৭. যেসব ভিডিও চ্যানেলে আছে সেগুলোতে ১০০০০ এর চেয়ে বেশী মোট ভিউ থাকলে ভিডিওগুলো Monetize করতে পারবেন। আর ইউটিউব মাল্টি চ্যানেল নেটওয়ার্কেও ঐ একই শর্ত পূরণ করতে হব
উপকারিতা: ইউটিউবের কারনে আজ আমরা দেশবিদেশর ভালো, মন্দ বিষয় দেখতে পারি ।একই বিষয় কে বার বার আমরা আমাদের প্রয়োজনে দেখে নিতে পারি ।
অপকারিতা: ইউটিউব যেমন আমাদের উপকারে এসেছে, তেমনি এর কারনে আমাদের সমাজের অনেক অপকার করেছে।আজ যুব সমাজ বিভিন্ন খারাপ কাজ কর্ম ইউটিউব এ দেখে তাদের জিবন কে ঠেলে দিচ্ছে হুমকির মুখে ।
উপসংহার: পরিশেষে বলতে চাই সব কিছুর ই একটি ক্রিয়ার বিপরিত প্রতিক্রয়া আছে ।
সুচনা: ওয়ালী বাজার এমন একটি বিক্রয় কারি প্রতিষ্ঠান যা আমার জিবনের দেখা সেরা প্রতিষ্ঠান ।এক ছাদের নিচে বসে হাজার প্রকারের পন্য পাওয়া এটা আসলেই আমাদের জন্য অনের বেশি পাওয়া ।
২) ঢাকা সিটিতে ১ ঘন্টায় ডেলিভারী সুবিধা। তবে আগের দিন অর্ডার দিলে পরদিন ভোরে টাটকা মাছ-মাংস-সবজি নির্দিষ্ট সময়ে ডেলিভারী হয়। বিক্রিত পন্যটি ফেরত অথবা পরিবর্তনযোগ্য।
৩) প্রতি সপ্তাহে ১টি পণ্যে পাচ্ছেন ৫০% ছাড়ের বিশেষ “ওয়াও অফার” ।
৪) আপনার সময় ও টাকা দু-দিকেই বিশেষ ডিসকাউন্ট সুবিধা পাচ্ছেন।
আপনি কি ব্যস্ত ? বাজার করার লোক বা সময় পাচ্ছেন না ? তবে এখনই অর্ডার করুন, সময় আর অর্থ বাচান, ডেলিভারী খরচ ফ্রি ! অন্য কোন চার্জ নেই। এছাড়াও ঢাকা সিটিতে নির্দিষ্ট সময়ের ১ ঘন্টার মধ্যে ডেলিভারী হচ্ছে ।
১) “1st10%” কুপন ব্যবহার করে অনলাইনে ১ম অর্ডারে পাবেন আরও ১০% ছাড় or 10% CashBack !
২) যে কোন সুপার ষ্টোর হতে ১%-২৫% ছাড়সহ নানান উপহার ফ্রি !!
৩) চাকুরীজীবিরা পাচ্ছেন উপরোক্ত ছাড়সহ পূর্ণ মাস বাকী ক্রয়ের সুয়োগ :
শর্ত হল নিজ অফিস হতে লিখিত ‘অনুরোধ-পত্র’ লাগবে। সপ্তাহে ৫০০+ টাকার ১টি অর্ডার করতে হবে।
৪) ব্যাচেলর শিক্ষার্থীরা মাছ-মাংস ও সবজি ক্রয়ে পাবেন আরও অতিরিক্ত ৫% ছাড় !
Contact us এর পুরন করলে পাঠালে, উপযুক্ত মনে হলে ৫% ছাড়ের কুপন পাঠানো যেতে পারে ।
৫) বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দরিদ্ররা পাবেন ১০০% ফ্রি শাক-সবজি ও খাবার :
বিক্রির পর অবশিষ্ট শাক-সবজি ও কিছু খাবার প্রতিদিন বিকেলে বয়স্ক দরিদ্রদের হাদিয়া প্রদান করা হবে।
উপসংহার: পরিশেষে আমি বলতে চাই, আমার দেখামতে বর্তমান চ্যালেঞ্জিং বাজারে ওয়ালী বাজার সেরা বাজার । ওয়ালী বাজার ক্রতাদের ক্রয় ক্ষমতার মান বিবেচনা করে সকল ধরনের পন্য নিয়ে এবং ক্রতাদেরকে অনেক সুবিধা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ।
ভুমিকাঃ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য হিসাবে জুতাকে ধরা হয়। এক এক দেশে জুতার চাহিতা এক এক ধরনের। বৃটেনের পুরুষেরা সরু মাথা এবং চকচকে জুতা পরিধান করে । অন্যদিকে মানানসই সুন্দর জুতা পরলে মহিলাদের আবেদনময়ী দেখায় । তবে কথায় আছে, যার পায়ে জুতা, সেই জানে কোথায় খোঁচা লাগে । ইতিহাসঃ জুতার ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন । বলা হয়, গরম এবং ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে পা রক্ষা করার জন্য স্যান্ডেল ও জুতা আবিস্কার করা হয়েছিল । গরম আবহাওয়ার জন্য মিশরীয়রা প্রথম স্যান্ডেল আবিস্কার করে এবং শেষ বরফ যুগে শীতের প্রকোপ থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার জন্য জন্তু-জানোয়ারের চামড়া দিয়ে প্রথম জুতা বানানো হয় । ১৯৩৮ সালে আমেরিকার অরিগন রাজ্যের ফোর্ট রক গুহায় খুঁজে পাওয়া স্যান্ডেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গেছে, সেই স্যান্ডেল খৃস্টপূর্ব সাত বা আট হাজার বছরের পুরোনো। সময় এবং চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্য্যন্ত বিভিন্ন ধরনের জুতা আবিস্কৃত হয়েছে । তবে এ বছরের আগষ্ট মাসের শেষে নির্মাতারা ঘোষণা করেছেন, শীঘ্রই বাজারে এমন এক বিশেষ ধরনের ‘বুদ্ধিমান’ জুতা পাওয়া যাবে, যা পথচারিকে দিক-নির্দেশনা দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাবে এবং অতিক্রান্ত পথের দূরত্বও পরিমাপ করবে । গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) প্রযুক্তির মাধ্যমে এ জুতা কাজ করবে । জুতার সুকতলায় সংযুক্ত ব্লুটুথের সঙ্গে স্মার্ট মুঠোফোনের বিশেষ অ্যাপস্ লাগানো থাকবে এবং স্মার্টফোনের এই অ্যাপসের মাধ্যমে গুগল ম্যাপ থেকে নির্দেশনা নিয়ে এই ‘হাইট্যাক’ জুতা পথচারীকে পথ দেখাবে। এছাড়া এ জুতা যে স্মার্ট মুঠোফোনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে, সেই ডিজিটাল মুঠোফোন ছেড়ে নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে গেলেই বিশেষ সংকেত দিবে এবং মুঠোফোন হারানোর ঝুকি কমবে । এই ‘বুদ্ধিমান’ জুতার নাম রাখা হয়েছে ‘লে চল’ (চল যাই), যার আবিস্কারক দুজন স্নাতক ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস্টিয়ান লরেন্স এবং অনিরুদ্ধ শর্মা । যাহোক, জুতা যে আমাদের শুধু ধূলাবালির হাত থেকে রক্ষা করে, পায়ের শোভা বর্ধন করে এবং পথ চলার সময় দিক-নির্দেশনা দিবে, তাই নয় । পা থেকে বেরিয়ে এসে জুতা পাশ্চাত্য এবং প্রাচ্যের লোকজ ও আধুনিক শিল্প-সাহিত্য এবং সঙ্গীতাঙ্গনে উঠে এসেছে । উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ১৮৪৫ সালে প্রকাশিত প্রখ্যাত ড্যানিশ লেখক হান্স ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসনের জুতা নিয়ে বিখ্যাত শিশুতোষ গল্প ‘দ্য রেড সুজ’ । তবে তার আগেও জুতা নিয়ে লোককাহিনী রচিত হয়েছে । এদের মধ্যে ১৭৬৫ সালে প্রকাশিত ‘লিটল গুডি টু সুজ’ অন্যতম । রাজনীতিকে উদ্দেশ্য করেও জুতা নিয়ে সাহিত্য রচনা করা হয়েছে । ১৯০০ সালে ফ্রাঙ্ক ব্রাউন রচিত ‘দ্য ওয়ান্ডারফুল উইজার্ড অফ ওজ্’, যা আমেরিকার গৃহ যুদ্ধের (১৮৬১-১৮৬৫) রাজনৈতিক বিষয়কে উপজীব্য করে লেখা হয়েছে । এছাড়া জুতা নিয়ে ছোটদের জন্য বিখ্যাত ইংরেজি ছড়া রয়েছে ‘ওয়ান, টু, বাকল্ মাই শু’ । জুতার সরব উপস্থিতি সঙ্গীতেও দেখা যায় । ভারত স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পরে, অর্থাৎ ১৯৫৫ সালে বলিউডের বিখ্যাত ‘শ্রী ৪২০’ ছায়াছবির গীতিকার শৈলেন্দ্ররের লেখা, সুরকার শংকর জয়কিষণের সুর, প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী মুকেশের গাওয়া এবং অভিনেতা রাজ কাপুরের ঠোঁটে আজো যে গান বিন্দুমাত্র আবেদন হারায়নি, সেই গানের প্রথম কলিতেই জুতার কথা রয়েছে । গানের প্রথম দু’কলি: ‘মেরা জুতা হ্যায় জাপানি, ইয়ে পাৎলুন ইংলিশস্তানি/ সার পে লাল টপি রুশি, ফির ভি দিল্ হ্যায় হিন্দুস্তানি ।’ তবে পশ্চিমা বা বিদেশী শিল্প-সাহিত্য ও সঙ্গীতে জুতার কদর বা বিশেষত্বের মতো বাংলা শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতেও জুতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় । সেই কবে জুতা আবিস্কারের কাল্পনিক কাহিনী নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন তার বিখ্যাত কবিতা ‘জুতা আবিস্কার’ । এছাড়া অনেক বছর আগে জুতা নিয়ে একটা প্যারোডী পড়েছিলাম । কার লেখা, কোথায় এবং কখন পড়েছি, আজ কিছুই মনে নেই । তবে প্যারোডীর কথাগুলো আজো স্পষ্ট মনে আছে, ‘জুতা রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনো ছুতা/ আমার প্রধান শত্রু হাই হিল জুতা’ । এছাড়া আমাদের দেশে তো বহুল ব্যবহৃত প্রবাদই আছে, ‘গরু মেরে জুতা দান ।’ জুতার প্রতি নেক বা একধরনের বিশেষ দুর্বলতা কম-বেশি সবারই আছে । টেকসই, সুন্দর এবং ভালো জুতা পরতে কে না চায় ? তবে এ ব্যাপারে ফিলিপাইনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের স্ত্রী ইমেলদা মার্কোসের নাম সবার আগে । বিশ্বের সর্বাধিক জুতার (সাড়ে তিন হাজার জোড়া) মালকিন হিসাবে ইতিহাসের পাতায় তার নাম লেখা হয়েছে । অন্যদিকে সম্প্রতি ‘অ্যামেরিকা গট টেলেন্ট’ (দ্বিতীয় পর্ব) শো-র ফিন্যালে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নিক ক্যানন এক জোড়া বিশেষ জুতা পরিধান করেন । সেই জুতার মূল্য মাত্র দুই মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। জুতার বিশেষত্ব হচ্ছে শ্বেত স্বর্ণের উপর ১৪০০০ ফুল-কাট গোলাকৃত ৩০ ক্যারাটের হীরক নিখুঁত ভাবে বসানো হয়েছে । এতে কারিগরের মোট দুই হাজার ঘন্টারও বেশি সময় লেগেছে । এই জোড়া জুতা বিশ্বের সবচেয়ে দামি জুতা হিসাবে ‘গিনিস ওয়ার্ল্ড বুক’-এ জায়গা করে নিয়েছে । জুতা কি শুধু পায়ে পরিধান করে ধূলাবালির হাত থেকে নিস্কৃতি পাওয়া, পায়ের শোভা বর্ধন করা এবং ব্যক্তিত্ব, আভিজাত্য ও প্রাচুর্য্য প্রতীক, নাকি শিল্প-সাহিত্য ও সঙ্গীত ভুবনের একটা বিষয় ? জুতার আরো অনেক ব্যবহার আছে। যেমন প্রচন্ড ঘৃণা, বিদ্বেষ এবং তীব্র প্রতিবাদের ভাষা জুতা নিক্ষেপ বা ছোড়াছুড়ি এবং জুতা প্রদর্শন । যেহেতু জুতার সঙ্গে রাস্তার ময়লা এবং ধূলাবালির একটা মাখামাখি সম্পর্ক রয়েছে, তাই কারোর প্রতি জুতা নিক্ষেপ বা জুতা দেখানোর অর্থ হচ্ছে তার প্রতি অবজ্ঞা এবং লাঞ্ছনার বহির্প্রকাশ । যাহোক, এই জুতা নিক্ষেপের ইতিহাস খুব বেশি দিনের পুরোনো নয় । বর্তমানে বিশ্বের অনেক জায়গাতেই জুতা ছোড়াছুড়ির ঘটনা দেখতে পাওয়া যায় । তবে জুতা নিক্ষেপের ঘটনা শুরু হয়ছে ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আমেরিকান দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে। সেই সম্মেলনে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে উদ্দেশ্য করে সাংবাদিক মুনতাদার আল-জাইদি জুতা ছুড়েছিল । বিশ্বের গণমাধ্যমে এই ঘটনা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে । পরবর্তীতে জুতা নিক্ষেপের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন পরিবেশে । জর্জ বুশের ঘটনার পর যারা এই জুতা নিক্ষেপের মুখোমুখি হয়েছেন, তারা হলেন অষ্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশররফ, বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, আমেরিকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টন, ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ, চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিও, সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বাশির, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ আর্ডোগ্যান, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারী এবং গ্রীসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদ্রেও । উল্লেখ, জুতা প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনে মোবারকের বিরুদ্ধে । শুধু কি বিদেশের মাটিতেই জুতা নিক্ষেপ বা জুতা প্রদর্শনের ঘটনা ঘটছে । না, বাংলাদেশেও সেসব ঘটনার জোর হাওয়া এসে লেগেছে । তবে আমরা একজন অন্যকে জুতা দেখাই । জুতা পায়ে হাঁটার সময় কোনো কারণে অন্যমনস্ক হলে অনেক সময় লজ্জাজনক এবং বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় । যেমন গত ২০১২ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি ভারত সফরে নয়া দিল্লীর গান্ধী মেমোরিয়াল প্রদর্শন করার সময় অষ্ট্রেলিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড হাই হিল জুতা পড়ে পা ফসকে পড়ে যান । তার হাই হিল ভেজা ঘাসের মধ্যে আটকে গিয়েছিল । সেই বিব্রতকর ছবি সারা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচারিত হয় । এছাড়া ‘জুতা মারা’ একটা শাস্তিযোগ্য বিষয়, যা সরাসরি কারোর উপর প্রয়োগ না করে মুখে বললেও যাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, সেটা তার কাছে অপমান এবং শাস্তি হিসাবে পরিগণিত হয় । এধরনের জুতা মারার শাস্তি এখনো গ্রামবাংলায় প্রচলিত আছে । মোদ্দা কথা, ঘৃণা-বিদ্বেষের জন্য কারোর প্রতি জুতা নিক্ষেপ করা বা অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগে কারোর বিরুদ্ধে জুতা প্রদর্শন করে রাস্তায় মিছিল করা, অপরাধের শাস্তি হিসাবে কাউকে জুতা দিয়ে আঘাত করা, কিংবা মুখে ‘জুতা মারা’ বলা এবং চেয়ারে বসে কারোর দিকে মুখ করে জুতার তলা দেখানোও রীতিমতো অপমানজনক বিষয় এবং সামাজিক ভাবে অগ্রহণযোগ্য । উপসংহারঃ আমরা, নিরীহ সাধারণ মানুষেরা নিক ক্যাননের মতো হীরক খচিত মহামূল্যবান জুতা চাই না, বা ইমেলদা মার্কোসের মতো এত বেশি জোড়া জুতাও চাই না, এমনকি সেই জুতা চাই না, যার ভেতর লুকিয়ে সোনা পাচার করা হয় । সম্প্রতি উদ্ভাবিত দিক-নির্দেশনার ‘বুদ্ধিমান’ জুতার মতো আমরা এমন এক বিশেষ ধরনের অলৌকিক শক্তি সম্পন্ন জুতা চাই, যা আমাদের মন থেকে অনায়াসে গুম-হত্যা, ভয়-ভীতি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ভেজাল, যানজট ইত্যাদি দৈনন্দিন এবং সামাজিক ব্যাধি ও সমস্যার গাঢ় অন্ধকার দূর করে আলোর দিক-নির্দেশনা দিবে । সবশেষে হলিউডের স্বনামধন্য অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর সেই বিখ্যাত উক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে শেষ করছি। তিনি বলেছিলেন, ‘গিভ এ গার্ল দ্য রাইট পেয়্যার অফ সুজ, অ্যান্ড শী ক্যান কংক্যার দ্য ওয়ার্ল্ড’, অর্থাৎ নারীকে সঠিক জুতা দাও, সে তামাম দুনিয়া জয় করে দেখাবে ।-Angel Moon
ভূমিকা: অনলাইনে আয় এখন কোন স্বপ্ন নয় বরং বাস্তবতা। আইটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে । সেই সাথে বাড়ছে ফ্রি-ল্যান্সারদের সংখ্যা ও অনলাইন ইনকাম । অনেকেই নতুনভাবে আগ্রহী হচ্ছেন ফ্রি-ল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এ যারা অনলাইন কাজ করে আয় করতে আগ্রহী । সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকেই অনলাইনে আয় করতে পারেন না বা যানা নেই কিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায় । যারা
নতুনভাবে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের এই বাংলা অ্যাপস । এখন বাংলাদেশের অনেক ছেলে মেয়ে ঘরে বসে আয় করছে প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা। এতে করে একদিকে তারা হইয়ে উঠছে স্বাবলম্বী অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাখছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা । অনলাইনে অায়ের উপায়: এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। আপনি এখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারেন আর আপনার আর্টিকেল বা নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বে, ততো বেশি টাকা পাবেন। “শুভং” নামক একটা ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ করে নেয়। যদি আপনি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকেন, তবে আপনার তোলা আকর্ষণীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। অনলাইনের ডিজাইনাররা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, তাদের নিকট ছবিগুলো বিক্রি করতে পারেন। এই ছবিগুলো আই-স্টক-ফটোস্ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারবেন। ফেসবুক কি তা আর নতুনভাবে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার কোন দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। ফেসবুক হল আজকের দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। তাই অনেকেই জানতে চান ফেসবুক থেকেও কিভাবে টাকা আয় করা যায়। আমি বলল হ্যা ফেসবুক থেকেও টাকা আয় করা যায়। কারন আমরা জানি যে সারা পৃথীবির ৮০ কোটির বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। তাই মার্কেটিং জাতিয় কাজের বড় ধরনের সুযোগ এখানে রয়েছে। তবে আপনার বন্ধু বা ফ্যান অনেক বেশি এই কারনে ফেসবুক আপনাকে টাকা দিবে না, কিন্তু এই পরিমান বন্ধু বা ফ্যান কে নির্ভর করেই আপনাকে আয় করতে হবে। মোট কথা একে প্রচারের কাজে ব্যবহার করা লগবে। ঘরে বসে ফ্রি-লেন্সিং করে আয় রোজগারের একটা চমৎকার সুযোগ। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা এডমিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকেন তাহলে, অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারেন। আপনি চাইলে ফ্রিলেন্সিংভিত্তিক একটা ক্যারিয়ারই গড়ে তুলতে পারেন। উপসংহার: আমি অনলাইনে কত টাকা আয় করতে পারবো? এটা আমার পরিশ্রম, দক্ষতা আর পদ্ধতির উপর নির্ভর করবে। এখান হতে সত্যিই অনেক টাকা আর্ন করা যায়, যদি আপনি ধৈর্য ধরেন আর কঠোর পরিশ্রম করেন। কখনো চুরি, ধোঁকাবাজি করবে না আর কাজের প্রতি সৎ থাকার চেষ্টা করবেন। BY Suhayla Subah Hir
আপনার প্রতিবেশী ও বন্ধুকে আমন্ত্রন বা ইনভাইট করে তাদের ২% কমে ক্রয়ের কুপন দিয়ে সু-সংবাদ দিন । এতে দুই ভাবে অায় করুন। আপনার ১ম অর্ডারের পর ইনশাল্লাহ ২% ছাড়ের কুপন নম্বরটি মেসেজ করে দেয়া হবে ।
ক) নগদ আয় :
নতুন কাস্টমারকে ইনভাইট করে ১-৩টি অর্ডারে মোট = ১০০০ টাকার বাজার করাতে পারলে, নগদ পুরষ্কার =১০০ টাকা ।
অবশ্যই আপনার ইনভাইটকারীর অর্ডারের পূর্বে 01975030501 নম্বরে মেসেজ অথবা wmflbd@gmail.com ই-মেইলৈ তার নাম, ফোন ও বিবরন পাঠাতে হবে ।
খ) দীর্ঘমেয়াদী আয় :
নতুন কাস্টমারকে ইনভাইট করে ১টি অর্ডার করাতে পারলে, তার সকল অর্ডারে ১% কমিশন আপনি পাবেন, সারা জীবন।
অবশ্যই আপনার ইনভাইটকারীর অর্ডারের পূর্বে 01975030501 নম্বরে মেসেজ অথবা wmflbd@gmail.com ই-মেইলৈ তার নাম, ফোন ও বিবরন পাঠাতে হবে ।
আপনার প্রতিবেশী, বন্ধু ও যৌথ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ওয়ালী বাজারে এ অর্ডারের আমন্ত্রন করুন। EARN FOR SHOPPING এর পাতায় সোসাল মিডিয়ার কিছু লিংক দেয়া আছে, “আমার কাছে % ছাড়ের কুপন কোড আছে” এই কথা লিখে শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি “ওয়ালী বাজারের” বৈধ ও হালাল সেবাকে প্রচার করতে পারেন। অত:পর যে ২% ছাড়ের কুপন কোডটি চাইবে, তাকে কুপন কোডটি দিন । উল্লেখ্য যে, আপনার ১ম অর্ডারের পর ইনশাল্লাহ ২% ছাড়ের কুপন নম্বরটি মেসেজ করে দেয়া হবে । অবশ্যই আপনার ইনভাইটকারীর অর্ডারের পূর্বে 01975030501 নম্বরে মেসেজ অথবা wmflbd@gmail.com ই-মেইলৈ তার নাম, ফোন ও বিবরন পাঠাতে হবে । তাতে আমরা প্রত্যেক কাস্টমারের আইডির সাথে ইনভাইটকারীর আইডি নং যুক্ত করে দিতে পারবো। আর মাস শেষে মেসেজ করে আপনার আয় কত হল ? তা মাস শেষে এই পেইজে দেখতে পারবেন এবং প্রতি বছর শেষে ৩১শে ডিসেম্বর হিসেব করে আর ১% দিয়ে পরবর্তি বছরে উক্ত আয় দিয়ে ফ্রি বাজার করতে পারবেন।
নিয়মাবলী :
ব্র্যান্ড আইটেমসহ সকল গ্রোসারী পন্য বাজার মূল্য হতেও ২% ছাড়ে বিক্রি হয়। যার মাধ্যমে কাস্টমার আসে উনি পাবেন মোট বিক্রির ১% টাকা। যদি আপনার কথায় ১০০ কাস্টমার এসে ২% ছাড়ে পন্য কেনা শুরু করে যতদিন কিনবে ততদিন পাবেন।
উদাহরন :
আপনার অনুরোধে মাসে ৫০০০ টাকা করে ১০০ জনে যদি ৫ লাখ টাকার পন্য ৪.৯ লাখে কিনে তবে আপনার একাউন্টে ১% হিসেবে সে মাসে ৪,৯০০ টাকা জমা হবে। যা দ্বারা আপনিও ২% ছাড়ে বাজার ক্রয় করতে পারবেন। এখানে প্রত্যেক কাস্টমারের আইডির সাথে ইনভাইটকারীর আইডি নং যুক্ত থাকবে। মাস শেষে মেসেজ করে জানানো হবে। এভাবে পরের মাসে আরও ১০০ জনকে অনুরোধ করে বাজার মূল্য হতেও ২% কমে কিনার অনুরোধ করে আপনি পেতে পারেন – ৪,৯০০/-+ ৯,৮০০/-= ১৪,৭০০/- টাকা । মাসিক আয় ৪,৯০০ করে বৃদ্ধি হলে ১২ মাস পর ১% হিসেবে আপনার মোট আয় হতে পারে = ৩,৮২,২০০/- টাকা ।
ইনভাইটকারীর মাসিক আয়ের একটা হিসাব দেখানো হল :
মাস ক্রেতা সংখ্যা বাজার মূল্য ২% ছাড়ে মোট বিক্রি ইনভাইটকারীর ১% কমিশন
১ম ১০০ ৫,০০,০০০ ৪,৯০,০০০ ৪,৯০০
২য় ২০০ ১০,০০,০০০ ৯,৮০,০০০ ৯,৮০০
৩য় ৩০০ ১৫,০০,০০০ ১৪,৭০,০০০ ১৪,৭০০
৪র্থ ৪০০ ২০,০০,০০০ ১৯,৬০,০০০ ১৯,৬০০
৫ম ৫০০ ২৫,০০,০০০ ২৪,৫০,০০০ ২৪,৫০০
৬ষ্ঠ ৬০০ ৩০,০০,০০০ ২৯,৪০,০০০ ২৯,৪০০
৭ম ৭০০ ৩৫,০০,০০০ ৩৪,৩০,০০০ ৩৪,৩০০
৮ম ৮০০ ৪০,০০,০০০ ৩৯,২০,০০০ ৩৯,২০০
৯ম ৯০০ ৪৫,০০,০০০ ৪৪,১০,০০০ ৪৪,১০০
১০ম ১০০০ ৫০,০০,০০০ ৪৯,০০,০০০ ৪৯,০০০
১১তম ১১০০ ৫৫,০০,০০০ ৫৩,৯০,০০০ ৫৩,৯০০
১২তম ১২০০ ৬০,০০,০০০ ৫৮,৮০,০০০ ৫৮,৮০০
১২ মাসে ২% ছাড়ে মোট বিক্রি = ৩,৮২,২০,০০০/-, ১% কমিশন = ৩,৮২,২০০/- টাকা।
পরের বছর বিনা কষ্টেই পাচ্ছেন ৭,০৫,৬০০/- (সাত লক্ষ পাঁচ বাজার ছয়শত টাকা) একটু ভেবে দেখুন।
সুতরাং প্রতিবেশী, বন্ধু ও যৌথ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ওয়ালী বাজারে এ অর্ডারের আমন্ত্রন করে ২% কমে কিনার অনুরোধ করে বিশেষ উপকার করুন এবং সাথে সাথে আপনিও আয় করুন লক্ষ লক্ষ টাকা এবং তা দিয়ে ওয়ালী বাজারে ফ্রি বাজার করুন। উল্লেখ্য যে কোম্পানীর সকল স্টাফ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগন ইনভাইট করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র গ্রসারী-ষ্টোর আইটেম বা মুদি বাজারের ক্ষেত্রে উপরোক্ত অফার সমূহ প্রজোয্য।
সুচনা: লবণ নিত্যদিনের খাদ্য তালিকার অন্যতম উপাদান। খাদ্যে তালিকার বাইরেও ড্রাইং, কাপড় তৈরি, চামড়া শিল্পে লবণ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু কী করে হয় লবণ চাষ, তা কি সবাই জানেন? লবণ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে এ শিল্পের বিকাশ ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হলো। বর্ণনা: কক্সবাজার জেলা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ইসলামপুর ইউনিয়নের অনেকাংশজুড়েই হয় লবণ চাষ। মাঠে লবণ চাষিদের সঙ্গে এবং লবণ রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় লবণ চাষের ইতিহাস। ইসলামপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি ছোট নদী। ঈদগাহ মাঠের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে স্থানীয়রা এ নদীকে ঈদগাহ নদী বলে থাকেন। এ নদী ঘেষে বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে হয় লবণ চাষ। নদীর লবণাক্ত পানি দিয়েই উৎপাদিত হচ্ছে লবণ। সমতল ভূমিকে চারপাশে মাটির ছোট আইল (মাটি দিয়ে উঁচু করে বেড়ার মত) দিয়ে ছোট প্লট আকৃতির জায়গা বানানো হয়। এরপর ছোট প্লটগুলো রোদে ভালভাবে শুকিয়ে কালো পলিথিন বিছিয়ে দেওয়া হয়। এরপর নদী থেকে ইঞ্জিনচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে লোনা পানি এনে ছোট ছোট ওই প্লট ভর্তি করা হয়। এভাবে পানি সংগ্রহ করার পর ৪ থেকে ৫ দিন রোদে রাখা হয়। কড়া রোদে পানি বাষ্পীভূত হয়ে চলে যায় আর লবণ পড়ে থাকে পলিথিনের ওপর। লবণের সাদা দানা একটু ঝরঝরে হলেই রিফাইনারি মেশিনের মাধ্যমে লবণ রিফাইন করে বস্তাভর্তি করা হয়। প্রতি বস্তায় ৮০ কেজি করে লবণ থাকে। এ লবণ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। এখান থেকে বড় বড় নামি-দামি কোম্পানি যেমন এসিআই সুপারি সল্ট, কনফিডেন্সসহ অন্য সব কোম্পানি প্রাথমিকভাবে রিফাইন করা লবণ নিয়ে নিজেদের মেশিনে আরও ঝরঝরে করে। এরপর কোম্পানির মোড়কজাত করে বাজারে সরবরাহ চালায়। সময়কাল: লবণ চাষের ভরা মৌসুম ফাল্গুন-চৈত্র মাস। বছরের ছয় মাস লবণ চাষ হয় ইসলামপুরে, বাকি ছয় মাস একই জায়গা চাষ হয় লোনা পানির চিংড়ি। লবণ চাষ সম্পর্কে স্থানীয় লবণ চাষি ও ‘হাজী রিফাইনারি’র মালিক জাবেদ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, ‘লবণ চাষ মূলত আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। একটু ঝড় বৃষ্টি হলেই লবণ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। শীতের কুয়াশাও লবণের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ ব্যবসা খুবই ঝঁকিপূর্ণ’। জাবেদ আল মামুন ১৫ বছর ধরে লবণ চাষের সঙ্গে জড়িত। নিজের ও লিজ নেওয়াসহ ৪০ কানি (এক কানি সমান ৪০ শতাংশ) জমি লবণ চাষে ব্যবহার করেন তিনি। এ লবণ চাষি বলেন, লবণ চাষের ভরা মৌসুম হচ্ছে ফাল্গুন-চৈত্র মাস। আরও চার মাসও লবণ উৎপাদন হয় ভালো। রোদ থাকলে চৈত্র মাসে এক কানিতে ১২০ মণ পর্যন্ত লবণ উৎপাদন হয়। তিনি বলেন, চৈত্র মাস হলো লবণের জন্য ‘কিং অব কিং’ অর্থাৎ লবণ চাষের জন্য রাজা। কিন্তু এবার ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় লবণ উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে গেছে। অন্য বছরে যেখানে চৈত্র মাসে এক কানিতে ১২০ মণ লবণ হতো, এবার ২০ মণও হয়নি। সারাদেশের লবণের চাহিদার ৮০ ভাগই কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মেটানো হয়ে থাকে। কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর ইউনিয়ন ছাড়াও কুতুবখালী, মহেশখালী, ইসলামাবাদ, ফুকখালী, বাড়বুআলী, চপুলন্ডীসহ বেশ কিছু জায়গায় লবণ চাষ হয়। লবণ চাষ যেসব জায়গায় হয়, সেখানে অন্য কোনো ফসল হয় না। মুল্য: মাঠ পর্যায়ে এক বস্তা (৮০ কেজিতে এক বস্তা) লবণের মূল্য ৬০০ টাকা, মিলে রিফাইন করার পর তা হয়ে যায় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। ইসলামপুর লবণ শিল্প এলাকা থেকে নৌকা ও ট্রাকে করে বিভিন্ন জেলায় লবণ সরবরাহ করা হয়। লবণ চাষকে কেন্দ্র করে ইসলামপুরে রয়েছে ৪০টি রিফাইনারি ফ্যাক্টরি। এর মধ্যে বর্তমানে ৩০-৩৫টি ফ্যাক্টরি সচল রয়েছে। একটি রিফাইনারি ফ্যাক্টরি চালু করতে হলে সপ্তাহে কমপক্ষে ৭০ টন লবণ প্রয়োজন। লবণ রিফাইনারিতে প্রতিটি ফ্যাক্টরিতে ৩০-৪০ জন শ্রমিক কাজ করেন, এ শ্রমিকদের কাজ দিতে হলে সপ্তাহে ৭০ টন ‘র’ লবণ প্রয়োজন বলে জানান মিতালী সল্ট রিফাইনারি স্বত্বাধিকারী মো. ইউনূস। লবণ শিল্পের ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, পঞ্চদশ শতাব্দীতে কক্সবাজার জেলায় লবণ চাষ শুরু হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সহায়তায় এখানে বাণিজ্যিকভাবে লবণ ব্যবসা বিকাশ লাভ করলেও অষ্টদশ শতাব্দীতে ইংরেজ সরকার এদেশে লবণ উৎপাদন নিষিদ্ধ করে ইংল্যান্ড থেকে লবণ আমদানি শুরু করে। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে উপকূলীয় জমি পরিষ্কার করে সাগরের পানি সূর্যে ও তাপে বাষ্পীভূত করার মাধ্যমে এক ব্যক্তি লবণ চাষ শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে কক্সবাজার সদর উপজেলার গোমাতলী মৌজাতে এক ব্যক্তি ১২০ একর জমি দীর্ঘ মেয়াদি বন্দোবস্ত নিয়ে লবণ চাষ শুরু করেন। সে থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লবণ উৎপাদনের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) তথ্যমতে, কক্সবাজার জেলায় ৬৩ হাজার ৫৩২ একর লবণের মাঠ রয়েছে। আর লবণ চাষি রয়েছেন ৪৩ হাজার ৫০০ জন।
উপসংহার: মানুষের খাবারের সকল উপাদানের সাথে লবণ প্রয়োজন হয় । তাই লবণের প্রয়োজন কে বিবেচনা করে ভালো ভালো ব্যবসায়িরা যদি এগিয়ে আসে তা হলে লবণ ব্যবসা একটি লাভ জনক ব্যবসায় পরিনত করা যাবে । -Sinthiya Aktar Rifa
ভুমিকাঃ সহজ ভাষায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। একসময় সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিলো চিঠি। ডাকপিয়নের সেকি কদর। কখন আসবে প্রিয়তমার হাতের লেখা ভালোবাসার চিঠি। ইন্টারনেট প্রযুক্তির ফলে বিশেষত:মোবাইল ব্যবহারে এ্যান্ডয়েড প্রযুক্তির উন্নয়ন ও এর ব্যবহার তথ্য ও যোগাযোগ মাধ্যমকে এমন এক পর্যায়ে আনা হয়েছে যে পৃথিবী এখন এক প্রকার আপনার হাতর মুঠোয়। ইতিহাসঃ সোশ্যাল মিডিয়াকে অনেকেই অনেকভাবে উপস্থাপন করেছেন কিন্তু আমার মনে হয়েছে একটা গ্রহনযোগ্য সংজ্ঞা দিয়েছেন মাইকেল হেনলেন এবং এনড্রিয়াস কাপলান,”সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক অনেক গুলো এ্যাপ্লিকেশনের সমষ্টি যেগুলো ওয়েব দুনিয়াকে আরো বাস্তবসম্মত ও প্রযুক্তি সম্পন্ন করে তুলেছে এবং যা ব্যবহারকারীকে তাদের নিজস্ব জগৎ সৃষ্টি এবং পারস্পরিক বিনিময় করতে সুযোগ প্রদান করে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ঘুরে আসতে পারেন “উইকিপিডিয়া ”। গুনাগুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে নিশ্চয় একটা ধারনা ইতিমধ্যে হয়েছে আপনার। এবার বলুনতো একটা জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়ার নাম? জানি নিমিষেই সহজ উত্তরটা দিতে পারবেন। কিন্তু যদি বলি বর্তমান বিশ্বে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত? কোন দেশ সবচাইতে বেশী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে? কোন কোন দেশে কোন কোন সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ব আছে? বিবরনঃ গুরুত্বপূর্ন সোশ্যাল মিডিয়ার নাম জেনে নেই Photo Credit &; Edited from : Istock www.facebook.com www.twitter.com www.plus.google.com www.linkedin.com www.tagged.com www.myspace.com www.orkut.com www.quepasa.com www.blogger.com www.wordpress.com www.flickr.com www.picasa.com www.google.com/buzz www.badoo.com www.bebo.com www.buzznet.com সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে ব্যক্তিগত, ক্ষু্দ্রব্যবসা, বৃহৎ ব্যবসা এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচার মাধ্যম প্রক্রিয়া।সমন্বিত মার্কেটিং যোগাযোগ হচ্ছে একটি অসাধারন মাধ্যম যার মাধ্যমে খুব সহজেই কোন প্রতিষ্ঠানের টার্গেট মার্কেটে তাদের পন্য সম্পর্কে প্রচার করা যায়।সমন্বিত মার্কেটিং যোগাযোগের প্রধান উপাদান হচ্ছে এ্যাডভার্টাইজিং, ব্যক্তিগত বিক্রয়, পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন, প্রচার, সরাসরি মার্কেটিং এবং সেলস প্রমোশন। স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং প্রোগ্রাম সাধারনত পাঠক বা ব্যবহারকারীকে আকর্ষন বা উদ্বুত করে কোন তথ্য অন্যদের সাথে স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানাতে।একটি ব্যবসায়ীক বার্তা ব্যবহারকারী থেকে ব্যবহারকারীর কাছে পৌছে যায় এর দ্বারা।শুধু তাই নয়, এটি অন্যসকল এ্যাডভার্টাইজিং মাধ্যম থেকে অধিক কার্যকর।সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংকে প্রকাশ করা হয় SMM (Social Media Marketing) বা SMO (Social Media Optimization) এর মাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে তো জানলেন কিন্তু কেন করবেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জনপ্রিয় ক্ষেত্র সমূহ সোশ্যাল নেটওয়ার্ক : এটি ব্যবহারকারীদের অনলাইন কমিউনিটি যাতে বিভিন্ন তথ্য,ছবি,ভিডিও ইত্যাদি বিনিময় করা যায়। উদাহরন : Facebook, Myspace ব্লগিং এবং মাইক্রোব্লগিং : এটি জার্নালের মত ওয়েব সাইট যা তাৎক্ষনিক তথ্য আপডেট রাখে, মাইক্রো ব্লগিং হচ্ছে টেক্সট মেসেজের প্রকাশনা মাধ্যম। উদাহরন : WordPress, Twitter সোশ্যাল বুক মার্কিং : এটি ব্যবহারকারীকে তাদের পাওয়া কোন ওয়েব সাইটকে সংরক্ষন এবং বিনিময় করার সুযোগ প্রদান করে। উদাহরন : Digg, Reddit মিডিয়া শেয়ারিং : ছবি এবং ভিডিও বিনিময় সেবা প্রদান করে। উদাহরন : Flickr, Youtube স্যোসাল রিভিউ : ভ্রমনকারীদের বিভিন্ন হোটেল বা স্থান সম্পর্কে রিভিউ প্রদান করার সুযোগ প্রদান করে।যারা ভ্রমন করতে ইচ্ছুক তারা ইচ্ছে করলে এগুলো তাদের ট্রাভেল প্ল্যান হিসেবে তৈরী করতে পারে। উদাহরন : Yelp, Tripadviser ইউজার জেনারেটেড কনটেন্ট (ইউজিসি) : ট্রাভেল গাইড বা কোন তথ্যাদি যা ব্যবহারকারী কর্তৃক লিখিত। উদাহরন : Wikitravel, World66 জেনে রাখতে পারেন কিছু সোশ্যাল বুক মার্কিং সাইট সম্পর্কেও www.google.com/bookmarks www.slashdot.org www.digg.com www.stumbleupon.com www.reddit.com www.squidoo.com www.delicious.com www.technorati.com www.kojaxx.com এবার আসা যাক সম্ভাবনাময় আউট সোর্সিং বা আয় সম্পর্কে অনেক কিছুই তো জানা হলো সোশ্যাল মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, বুক মার্কিং ইত্যাদি সম্পর্কে। আরো জানলাম কেন করবো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।এবার জানবো এর মাধ্যমে কিভাবে টাকা আয় করা সম্ভব।আসলে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন অনেকগুলো এ্যাপ্লিকেশনের সমন্বিত মাধ্যম তেমনি এর মাধ্যমেও আপনি বিভিন্নভাবে আয় করতে পারেন।যেমন : আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন, মাইক্রো জবসাইট গুলোর মাধ্যমে, ফিক্সড প্রাইস অফারসাইট গুলোর মাধ্যমে, শুধুমাত্র ফেসবুক পেজের মাধ্যমে, টুইটারের মাধ্যমে। কি ব্যাপার কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না? বলছি শুনুন: আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে : আপনি ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদির মাধ্যমে বায়ারদের সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ করতে পারেন। মাইক্রো জবসাইট গুলোর মাধ্যমে : মাইক্রোওয়ার্কার্স,জববয়, শর্টটাস্ক ইত্যাদি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্যোসাল নেটওয়ার্কিংয়ের কাজ গুলো করতে পারেন। ফিক্সড প্রাইস অফার সাইটগুলোর মাধ্যমে : আপনি ফিভারার, জিগবাক্স ইত্যাদির মাধ্যমে ৫ থেকে ৫০ডলারের বিনিময়ে স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং কাজ করতে পারেন। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে : আপনি আপনার তৈরী ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও আয় করতে পারেন।তবে সেই পেজে সর্বনিম্ন ফ্যান থাকতে হবে ৫০০০+ এক্ষেত্রে সেই পেজে আপনি আপনার নিজস্ব পন্য বাএ্যাফিলিয়েট পন্যের (ইবে,এ্যামাজন,ক্লিকব্যাংক,সিজে ইত্যাদি) এ্যাড, থার্ড পার্টি কোম্পানীর ব্যানার এ্যাড প্রদর্শন, বিভিন্ন অফার প্রদানের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। টুইটারের মাধ্যমে : কিছু কিছু ওয়েব সাইট রয়েছে যে গুলো শুধুমাত্র তাদের পন্যের গুনাগুন টুইট করার জন্য টাকা দিয়ে থাকে।সেক্ষেত্রে আপনার টুইটার একাউন্টে ৫০০+ ফলোয়ার থাকতে হবে।এরকম একটি সাইট হচ্ছে স্পন্সরড টুইটস। আজ আর নয়। আগামীতে আরো কিছু জেনে নিশ্চয়ই লিখবো, “কোন দেশ সবচাইতে বেশী এবং কোন কোন দেশে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ আছে”? “কিভাবে ফেসবুক লাইক ও টুইটার ফলোয়ার সংগ্রহ করবেন”? সম্পাদনা কৈফিয়ত: ছবি ও লেখার উৎস ইন্টারনেট। উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে।এবং সমগ্র বিশ্বকে একিভুত করার অন্যতম মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। by Rikta Rahman Rikta
: -মানুষের বাঁচার জন্য ৫টি মৌলিক অধিকার বা চাহিদা হলো খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিতসা।
১(ক) ভূমিকা:খাদ্য মানুষের একটি বড় মৌলিক চাহিদা। বাঁচার জন্য মানুস খাদ্য খায়। কিন্তু বর্তমানে খাওয়ার জন্যই মানুষ বাঁচে। তাছাড়া রেস্টুরেন্টে বসে খাবেরে সাথে সেলফি না হলে খাবার অভিমান করে পেটে হজম হতে চায় না।
২(খ) ইতিহাস) :বস্ত্র মানুষের ২য় মৌলিক চাহিদা। মানুষের দেহকে ঢেকে রাখা এবং লজ্জা আবরণ করা বস্ত্রের কাজ। কিন্তু বর্তমানে মানুষ অন্যকে দেখানোর ও সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনের চেয়েও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে এই বস্ত্রের পেছনে।
৩ (গ) গুণাগুন:: বাসস্থান মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা । বাসস্থান মানুষের একটি নির্দিষ্ট জায়গা যেখানে সে একটি ছাদ এবং কয়েকটি দেয়ালের মধ্যখানে থেকে নিজেকে রোদ, বৃষ্টি, ঝড় ইত্যাদি থেকে রক্ষা করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে একটির বেশী বাসস্থান এবং তা জাকজমকপূর্ণ বা নামি এবং দামি হওয়া একটি বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পরেছে।
৪(ঘ) বিবরন:বলা হয়ে থাকে শিক্ষা মানুষকে মানুষ বানায় এবং একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ দেশের সম্পদ। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষা মানুষকে শিক্ষিত মূর্খ হওয়া শিক্ষা দিচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষা শুধুই নাম্বার অর্জন করা পর্যন্তই সিমাবদ্ধ এবং তা চাকরি বা অর্থ উপার্জনের সার্টিফিকেট।
৫(ঙ) উপসংহার ::::: চিকিৎসা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার।অসুস্থ ব্যাক্তির সুস্থতার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এক কথায় জীবনকে বিপন্ন হওয়া থেকে বাঁচাতে এবং শারীরিক ও মানসিক ভাবে মানুষকে পূর্বের ন্যায় সচ্ছলতা ফিরিয়ে দেয়াই হল চিকিৎসার মুল উদ্দেশ্য । কিন্তু বর্তমানে নামি ডাক্তার এবং দামি হসপিটাল না হলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পরে। তাছাড়া সাধারণ কাশি হলেও মানুষ অর্থ খরচ করে ডাক্তারের পেছনে দৌড়াতে বেশী পছন্দ করে। বিদ্রঃ সবার চাহিদা এক নয়। যারা এর ব্যতিক্রম তাদের এই মৌলিক চাহিদা পূরণে প্রতিটি মুহুর্ত্বে সংগ্রাম করতে হয়। তাদের জীবনের শেষ চলে আসে কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয় না আর হলেও তা অতি সামান্য কিন্তু তা তাদের কাছে খুব বড় কিছু। এমন মানুষও আছে যারা খুদার যন্ত্রণায় আবর্জনায় পড়ে থাকা খাবার ও খেয়ে থাকে। দেহকে ঢাকার জন্য থাকে এক টুকরো কাপড়। বাসস্থান বলতে খোলা আকাশ বা ফুটপাত। শিক্ষা তাদের কাছে শুধুই একটি স্বপ্ন। আর চিকিৎসা বলতে গেলে সরকারি হসপিটালের অবহেলা এবং পশু সাদৃশ্য ব্যাবহার। এই হল আমাদের সমাজ। পরিশেষে আমার একটি কবিতার চারটি লাইন দিয়ে শেষ করবো। “অর্থ সমাজের চাবিকাঠি, জীবন এখানে নগণ্য, অর্থ আছে যার ভুরি ভুরি, বাঁচার অধিকার শুধুই কি তার জন্য? ——— রাশেদ আহমদ ।
ভূমিকা: বাংলাদেশে অনলাইনে এখন বছরে এক হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। আর প্রতিদিন অনলাইনে ডেলিভারি দেয়া হয় ২০ হাজার অর্ডার৷ দেশে ওয়েবভিত্তিক অনলাইন শপ আছে এক হাজার৷ ফেসবুক ভিত্তিক আছে ১০ হাজারেরও বেশি৷ অনলাইন শপিং এসময় বাঁচে, শ্রম এমনকি অর্থও বাঁচে৷
বিবরন: অনলাইন ব্যবসায় তারা একটা সার্ভিস চার্জ নেয়৷ তবে তা তেমন বেশি নয়৷ কিন্তু নিজে শপিং সেন্টারে কিনতে গেলে সময় আর অর্থ দু’টোই যায়৷ আর ঢাকা শহরে যে ট্রাফিক জ্যাম তাতে শপিং বা বাজার করতে যাওয়া এক বিশাল যুদ্ধের ব্যাপার৷ বাংলাদেশে কর্মপদ্ধতির দিক থেকে অনলাইন শপিং-এর দু’ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে৷ এক ধরনের প্রতিষ্ঠান হলো, যারা পুরোটাই অনলাইন শপ৷ অনলাইনেই তাদের পণ্যের নমুনা এবং দাম দেয়া থাকে৷ ক্রেতারা অনলাইনেই পণ্য পছন্দ এবং অর্ডার করেন৷ ক্রেতাকে তাঁর বাসা বা ডেলিভারি পয়েন্টে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়৷ এমনি একটি অনলাইন শপ হল walibazar.com। যেখানে ভোক্তারা সকল ধরনের পন্য পেয়ে থাকেন। আরেক ধরনের হলো অনলাইন মার্কেট প্লেস৷ এখানে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় সক্রিয় থাকেন৷ কেউ পণ্য বিক্রির অফার করেন৷ আবার কেউ বা কিনতে চান৷ যোগাযোগটা অনলাইনের হলে বেচা-কেনা হয় ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে৷ আর এই কেনা-বেচায় অনলাইন মার্কেট প্লেসের কোনো দায় থাকে না৷ অনলাইন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সভাপতি ফাহিম মাশরুর ডয়চে বলেন‘‘আমাদের হিসেবে এখন শুধু অনলাইন ওয়েবসাইটেই (ফেসবুক বাদে) প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার অর্ডার প্রসেস হয়৷ বছরে টাকার হিসেবে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ কোটি টাকার লেনদেন হয়৷ আর অনলাইনে এখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে সব ধরনের পণ্যই পওয়া যায় – পোশাক, ঘড়ি, টুপি সবকিছু৷ এখন অনলাইনে টিকেট বিক্রিসহ আরো অনেক ধরনের সেবা দেয়া হয়৷ এমনকি স্বাস্থ্যসেবাও দেয়া হয় অনলাইনে৷ ফেসবুক লাইভের মাধ্যমেও দেয়া হয় চিকিৎসা পরামর্শ৷” তিনি জানান, ‘‘ঢাকা শহরে পণ্য ডেলিভারির সময় টাকা পরিশোধ করতে হয়৷ এছাড়া বিকাশ বা অন্য মাধ্যমেও টাকা লেনদেন হয়৷ আর ঢাকার বাইরে পণ্য পাঠানো হয় কুরিয়ার সর্ভিসের মাধ্যমে৷ সেক্ষেত্রে আগে পেমেন্ট করতে হয়৷” প্রকৃতির দিক দেয়ে আবার বাংলাদেশে দু’ধরনের অনলাইন শপ আছে৷ এক ধরনের হলো যারা নিজোরই ওয়েবসাইট খুলে পণ্য বেচা-কেনা করেন৷ আরেক ধরনের হলো ফেসবুকে পেজ খুলে কাজ করেন৷ ফাহিম মশরুর বলেন, ‘‘ওয়েবসাইট ভিত্তিক বড় ধরনের অনলাইন শপ ৪০টির মতো আছে এখানে৷ তবে ফেসবুকে কতগুলো আছে তা বলা মুশকিল। সুবিধা ও অসুবিধা: অনলাইন ক্রেতাদের মতে, আমি যে পণ্যটি কিনতে চাই তা কোথায় পাব? তার কোন মডেলটি আমি নেব? তার গুণাগুণ কী? এটা মার্কেটে ঘুরে ঘুরে বের করা এবং জানা কঠিন৷ কিন্তু অনলাইনে সহজেই জানা যায়৷ এছাড়া পণ্যটি যেহেতেু অনলাইনে পাওয়া যায়, তাহলে আর মার্কেটে যাওয়া কেন?তাছাড়া ঢাকা শহরের এই জ্যাম ঠেলে বাজার করতে যাবার চেয়ে অনলাইন শপিং ই উত্তম। অনলাইন শপিং-এ প্রতারণাও আছে৷ তেলাপোকা মারার একটি যন্ত্রের সুন্দর বিজ্ঞাপন দিয়ে অফার দিলো একটি অনলাইন শপ৷ কেনার পর দেখা গেল তেলাপোকা মরে না৷ প্রতিকার চেয়েও তখন তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না৷ কারণ তারা তখন হয়ত আমাকেই ব্লক করে দিয়েছে অথবা আমার স্ত্রীর জন্য একবার অনলাইন থেকে সালোয়ার কামিজ পছন্দ করলাম৷ ডেলিভারির সময় দেখি, অনলাইনে যে ছবি ছিল তার সঙ্গে মিল নেই৷ ওয়ান টাইম ব্যবসা আর কি!” প্রতারণার প্রসঙ্গটিতে ক্রেতারা জানান যে‘‘প্রতারণা আছে তবে তা শতকরা হিসেবে কম। অপকারের চেয়ে উপকারটাই অনেকখানি বেশি।
উপসংহার: বাংলাদেশে অনলাইনে বিক্রি এখন বেশ লাভজনক ব্যবসায়িক উদ্যোগে পরিণত হয়েছে। নতুন পুরাতন অনেক ব্যবসায়ীই এখন অনলাইনে বিক্রিকেই তাদের ব্যবসার পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনি সাধারন মানুষও।by Sumaya Siri
অনলাইনের মাধ্যমে চাল ডাল ক্রয় করতে ওয়ালী বাজার.কম অনন্য।
রচনা: ভূমিকা: অনলাইনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার জন্য আমার প্রথম পছন্দ “চাল-ডাল ডট কম”। বলা যায় প্রথম থেকেই তাদের নিয়মিত ক্রেতা আমি। তাদের সার্ভিসে আমি সন্তুষ্ট। রাজধানীর নির্দিষ্ট এরিয়াগুলোতে মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যে পণ্য সরবরাহ করে তারা। ইতিহাস: এমনও হয়েছে যে, প্রথমদিকে ৩০ মিনিটের মধ্যেও পণ্য হাতে পেয়েছি। আবার এমনও হয়েছে যে, ১ ঘন্টার বদলে ৩/৪ ঘন্টা পর পণ্য হাতে পেয়েছি। ঢাকার রাস্তায় জ্যামের কথা চিন্তা করে দেরী করে দেয়ায় কিছু মনে করিনি।
গুণাগুন: চাল-ডালের কার্যক্রম শুরু হয় প্রতিদিন সকাল ৮টায়। সেজন্য বেশিরভাগ সময় রাতে অর্ডার করি, যাতে সকালের প্রথমার্ধেই প্রোডাক্ট হাতে পাই। ফলে এক ঘন্টার মধ্যে যে পণ্যগুলো ডেলিভারী পাবার কথা তা স্বভাবতই সকাল ৯টার মধ্যেই বা খুব বেশি হলে ১০ টার মধ্যেই তো পাবার কথা। তবে নির্দিষ্ট সময়ে প্রোডাক্ট দিতে দেরী হলে কখনো তারা জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। তবে এবারের অর্ডারের ক্ষেত্রে দেখলাম ৮টা বাজার ১১ মিনিট আগেই মেসেজ করে তারা জানিয়েছে যে দেরী হবে। আরো মজার ব্যাপার হলো সকাল সাড়ে ৯টাতেই কিন্তু সব পণ্য হাতে পেয়েছি। ফলে মাত্র ৩০ মিনিট দেরীর জন্য তারা আগেই জানিয়েছে, যেটা না জানালেও পারতো। কারণ এর আগে তো এর চেয়ে অনেক দেরী হলেও তো কখনো জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। বিবরণ: তাহলে কি এমন ঘটলো যে তারা এতো নিয়মমাফিক কাজ শুরু করলো? যারা নিয়মিত খবরাখবর রাখেন তাদের হয়তো জানা থাকবে কিছু দিন আগেই ভোক্তা অধিদপ্তরে করা দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে চাল-ডালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দুটি অভিযোগের মধ্যে একটি ছিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য দেবার কথা থাকলেও ক্রেতাকে না জানিয়েই দেরীতে দেয়া। ফলে চাল-ডাল হয়তো একারণেই দেরীর আগেই মেসেজ করেছে বলে অনুমান করছি। এ পোস্টটা দেবার কারণ হলো, চাল-ডালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কারণে বিভিন্ন ফেসবুকার সে সময় দেখেছি অভিযোগকারীকে ধুয়ে দিতে। কেন এরকম একটি স্টার্টআপ বিজনেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা, কেন তার সহ্য ক্ষমতা কম… ইত্যাদি। তবে চাল-ডালের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ বা জরিমানা করা না হলে আজ এরকম মেসেজ হয়তো নাও পেতাম। হয়তো আরো দেরী করে পণ্য হাতে পেলেও কিছুই করার থাকতো না। একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরী যে, যে কোন ক্ষেত্রেই যদি জবাবদিহিতার জায়গা না থাকে তবে সেটির পতন অনিবার্য। ফলে কোন সিস্টেমকে টিকিয়ে রাখতে হলে জবাবদিহিতা জরুরী।
উপসংহার : দয়া ও ক্ষমা প্রদর্শন মহৎ গুণ। তবে সেটির কারণে যাতে কোন সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেটিও মনে রাখা জরুরী। চাল-ডালের মতো এতো সুন্দর একটি স্টার্টআপকে টিকিয়ে রাখাটাও যে আমাদের দায়িত্ব। একজন ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে চাল-ডালের যে আর্থিক ও সুনামের ক্ষতি হয়েছে সেটি অস্বীকার করা যাবে না। তবে এতে করে তারা যে আরো সতর্কভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবে সেটিও অন্যতম। আর এটিই হচ্ছে ব্যবসায় সফলতার মূল সূত্র।Md Milon Mahamud Mia
ভূমিকা: সাধারণত প্রতিদিন গোসল করাটাই নিয়ম বলে ধরে হয়। তাই কেউ সাধারণত বাধ্য না হলে গোসল না করে থাকে না। কিন্তু বিজ্ঞান কি বলে? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিজ্ঞান মতে দৈনিক গোসলের প্রয়োজনীয়তা অপ্রয়োজনীয়তা। সুবিধাও অসুবিধা: ডার্মাটোলজিস্টদের প্রতিদিন গোসল করাটা একেবারে জরুরী না হলেও বাংলাদেশের মতো আর্দ্র আবহাওয়ার দেশের জন্য প্রতিদিন গোসল করাটাই স্বাভাবিক অনেকের জন্য। তবে যারা প্রতিদিন গোসল করার ব্যাপারটাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন, তাদের সমর্থনেই কথা বলছেন গবেষকেরা। নিউ ইয়র্কের ডার্মাটোলজিস্ট ডক্টর জশুয়া জিকনার এর মতে, আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোর মানুষেরা আসলে অতিরিক্ত ঘন ঘন গোসল করে থাকে। মূলত সাংস্কৃতিক প্রভাবের কারনেই তারা প্রতিদিন গোসল করাটাকে জরুরী মনে করে থাকে। এদের দেখাদেখি উন্নয়নশীল দেশের মানুষেরাও দৈনিক গোসলকে অপরিহার্য বলে ধরে নেন। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পর বিভিন্ন সাবানের বিজ্ঞাপনে নিয়মিত গোসল করার ব্যাপারটাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। গবেষকদের মতে, আপনি শারীরিকভাবে কতোটা সক্রিয় তার ওপরে গোসলের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই নির্ভরশীল। যারা প্রতিদিন জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়ে আসেন তাদের জন্য দিনে একবার এমনকি একাধিকবার গোসল করাটা স্বাভাবিক এবং দরকারি। বাইরে ট্রাভেল করে শরীর ময়লা হয়ে গেলেও দরকারি গোসল। গ্রীষ্মকালে যে সময়ে কোন কাজ না করেই শরীর ঘেমে একাকার হয়ে যায় সে সময়েও দৈনিক গোসলটা জরুরী।। কিন্তু এ সময়ের কথা ভাবুন।। শীতকালে বেশ ভারী কাজ না করলে শরীর ঘামবে না, শরীর ময়লাও হবে না। এ সময়ে দৈনিক গোসল করাটা আসলে অতটা জরুরী নয়। এখানে আরেকটি ব্যাপারে জেনে রাখা দরকারি। শীতকালে আপনি যদি প্রতিদিন গরম পানিতে গোসল করতে থাকেন, তবে ত্বকের ক্ষতি বই উপকার হবে না। এর পাশাপাশি ত্বকের দরকারি ব্যাকটেরিয়াগুলোও পানির সাথে ধুয়ে চলে গিয়ে আপনার রোগ-বালাই হবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে। উপসংহার: দৈনিক গোসল না করে কতো ঘন ঘন গোসল করাটা জরুরী? উত্তপ্ত আবহাওয়া, ভারী কাজ বা ময়লা পরিবেশে না গেলে দুই-তিন দিন পর পর গোসল করাটাই যথেষ্ট। যদি বেশি জরুরী মনে হয় তবে শরীরের যেসব অঙ্গে ঘাম বেশি হয় ও ময়লা জমে সেসব অঙ্গ আলাদাভাবে ধুয়ে নিতে পারেন।