Posted on

বাংলাদেশে ইউটিউব

বাংলাদেশে ইউটিউব

বাংলাদেশে ইউটিউব

সূচনা :
ভিডিও শেয়ার করার একটি সামাজিক মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউব কি এই প্রশ্নের এক কথায় উত্তরটি আমরা সবাই জানি। ২০০৫ সালে যখন ইউটিউব যাত্রা শুরু করেছিল তখন এর সংজ্ঞা দিতে ঐ একটা বাক্যই হয়ত যথেষ্ট ছিল। এখন ইউটিউবে শুধু শেয়ার করা না, ভিডিও ক্লিপ, সিনেমা, গান, ডকুমেন্টরি এবং আরো নানা ধরণের ভিডিওর বিশাল একটি আর্কাইভে পরিণত হয়েছে। গুগোলের অংশ হওয়ার পর থেকে হোস্টেড এডসেন্সের মাধ্যমে এড দেখিয়ে এখান থেকে অর্থ উপার্জনও করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের এক শ্রেণীর নতুন ইউটিবাররা অর্থ উপার্জনের চক্করে পড়ে ইউনিক এবং ভালো মানের কন্টেন্ট নির্মাণের বদলে মাণহীন এবং কোনক্ষেত্রে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ এবং কপিরাইটেড কন্টেন্ট নিজের কন্টেন্টের সাথে মিশিয়ে প্রচার করছেন ।
বর্ণনা:
ইউটিউব কি সেটা তো জানলেন। এবার দেখে নেয়া যাক, ইউটিউবের মাধ্যমে কি কি করা যায়-

১. একটি একাউন্ট খুলেই ১৫ মিনিটের ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। আর একাউন্ট ভেরিফাই করে 20GB এর চেয়ে বড় ভিডিও ফাইলও আপলোড করতে পারবেন। এজন্য খুব সহজে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভেরিফাই করতে পারবেন।

২. ভিডিও এডিট করার সুবিধাও ইউটিউব দেয়। ফ্রী অনলাইন ভিডিও এডিটর হিসেবেও ইউটিউবকে ব্যবহার করা যায়। Youtube Video Creator দিয়ে অনলাইনে নতুন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এখানে ফ্রী মিউজিক লাইব্রেরীও আছে।

৩. ভিডিওটি আপনি কাকে দেখাবেন আর কাকে দেখাবেন না সেটা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। আপনি যদি চান আপনার ভিডিও লিংক যার কাছে আছে সেই শুধু দেখবে, অন্যরা দেখতে পাবে না। তাহলে সেটাও করা যায়। Rabitholebd এপে সম্ভবত এই ভাবে ক্রিকেট খেলা লাইভ দেখায়। অনেক ইউটিউব ইউজার আছে যারা ইউটিউবে এডাল্ট ভিডিও খোজে। হ্যাঁ, এডাল্ট ভিডিও ও ইউটিউবে আছে তবে Age restricted, লগ ইন করা না থাকলে এই ধরণের ভিডিও দেখা যাবে না। আপলোড করার সময়ও ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন।

৪. ভিডিওতে সাবটাইটেল যুক্ত করতে পারেন। অন্যসব সাবটাইটেলের চেয়ে ইউটিউবের সাবটাইটেলের সুবিধা হচ্ছে- Google Translator এর মাধ্যমে যেকোন ভাষায় পড়তে পারবেন। বিশ্বের যে কারো কাজে লাগবে এমন ভিডিও তৈরি করলে ভিডিওটি বাংলায় হলেও চেষ্টা করুন এর ইংরেজী সাবটাইটেল যুক্ত করতে।

৫. এখন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বিকল্প হয়ে দাড়িয়েছে ইউটিউব চ্যানেল। প্রফেশনাল ভিডিও নির্মাতারা ইউটিউব চ্যানেলে ভেরিফাইড চিহ্ন লাগিয়ে নিতে পারবেন। সাধারণত 100k সাবস্ক্রাইবার হলে সহজে এই চিহ্ন যুক্ত হয়, কম হুলেও হতে পারে।

৬. 100K সাবস্ক্রাইবার হলে Silver Play button পেতে পারেন। এছাড়া Golden, Diamond, Ruby button রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশের কেউ পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছে বলে শুনিনি।

৭. যেসব ভিডিও চ্যানেলে আছে সেগুলোতে ১০০০০ এর চেয়ে বেশী মোট ভিউ থাকলে ভিডিওগুলো Monetize করতে পারবেন। আর ইউটিউব মাল্টি চ্যানেল নেটওয়ার্কেও ঐ একই শর্ত পূরণ করতে হব

উপকারিতা:
ইউটিউবের কারনে আজ আমরা দেশবিদেশর ভালো, মন্দ বিষয় দেখতে পারি ।একই বিষয় কে বার বার আমরা আমাদের প্রয়োজনে দেখে নিতে পারি ।

অপকারিতা:
ইউটিউব যেমন আমাদের উপকারে এসেছে, তেমনি এর কারনে আমাদের সমাজের অনেক অপকার করেছে।আজ যুব সমাজ বিভিন্ন খারাপ কাজ কর্ম ইউটিউব এ দেখে তাদের জিবন কে ঠেলে দিচ্ছে হুমকির মুখে ।

উপসংহার:
পরিশেষে বলতে চাই সব কিছুর ই একটি ক্রিয়ার বিপরিত প্রতিক্রয়া আছে ।

Posted on

সোশ্যাল মিডিয়া

সোশ্যাল মিডিয়া

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং :

ভুমিকাঃ সহজ ভাষায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। একসময় সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিলো চিঠি। ডাকপিয়নের সেকি কদর। কখন আসবে প্রিয়তমার হাতের লেখা ভালোবাসার চিঠি। ইন্টারনেট প্রযুক্তির ফলে বিশেষত:মোবাইল ব্যবহারে এ্যান্ডয়েড প্রযুক্তির উন্নয়ন ও এর ব্যবহার তথ্য ও যোগাযোগ মাধ্যমকে এমন এক পর্যায়ে আনা হয়েছে যে পৃথিবী এখন এক প্রকার আপনার হাতর মুঠোয়।
ইতিহাসঃ সোশ্যাল মিডিয়াকে অনেকেই অনেকভাবে উপস্থাপন করেছেন কিন্তু আমার মনে হয়েছে একটা গ্রহনযোগ্য সংজ্ঞা দিয়েছেন মাইকেল হেনলেন এবং
এনড্রিয়াস কাপলান,”সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক অনেক গুলো এ্যাপ্লিকেশনের সমষ্টি যেগুলো ওয়েব দুনিয়াকে আরো বাস্তবসম্মত ও প্রযুক্তি সম্পন্ন করে তুলেছে এবং যা ব্যবহারকারীকে তাদের নিজস্ব জগৎ সৃষ্টি এবং পারস্পরিক বিনিময় করতে সুযোগ প্রদান করে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ঘুরে আসতে পারেন “উইকিপিডিয়া ”।
গুনাগুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে নিশ্চয় একটা ধারনা ইতিমধ্যে হয়েছে আপনার। এবার বলুনতো একটা জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়ার নাম? জানি নিমিষেই সহজ উত্তরটা দিতে পারবেন। কিন্তু যদি বলি বর্তমান বিশ্বে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত? কোন দেশ সবচাইতে বেশী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে? কোন কোন দেশে কোন কোন সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ব আছে?
বিবরনঃ গুরুত্বপূর্ন সোশ্যাল মিডিয়ার নাম জেনে নেই
Photo Credit &; Edited from : Istock
www.facebook.com
www.twitter.com
www.plus.google.comসোশ্যাল মিডিয়া 
www.linkedin.com

www.tagged.com
www.myspace.com
www.orkut.com
www.quepasa.com
www.blogger.com
www.wordpress.com
www.flickr.com
www.picasa.com
www.google.com/buzz
www.badoo.com
www.bebo.com
www.buzznet.com
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে ব্যক্তিগত, ক্ষু্দ্রব্যবসা, বৃহৎ ব্যবসা এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচার মাধ্যম প্রক্রিয়া।সমন্বিত মার্কেটিং যোগাযোগ হচ্ছে একটি অসাধারন মাধ্যম যার মাধ্যমে খুব সহজেই কোন প্রতিষ্ঠানের টার্গেট মার্কেটে তাদের পন্য সম্পর্কে প্রচার করা যায়।সমন্বিত মার্কেটিং যোগাযোগের প্রধান উপাদান হচ্ছে এ্যাডভার্টাইজিং, ব্যক্তিগত বিক্রয়, পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন, প্রচার, সরাসরি মার্কেটিং এবং সেলস প্রমোশন।
স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং প্রোগ্রাম সাধারনত পাঠক বা ব্যবহারকারীকে আকর্ষন বা উদ্বুত করে কোন তথ্য অন্যদের সাথে স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানাতে।একটি ব্যবসায়ীক বার্তা ব্যবহারকারী থেকে ব্যবহারকারীর কাছে পৌছে যায় এর দ্বারা।শুধু তাই নয়, এটি অন্যসকল এ্যাডভার্টাইজিং মাধ্যম থেকে অধিক কার্যকর।সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংকে প্রকাশ করা হয় SMM (Social Media Marketing) বা SMO (Social Media Optimization) এর মাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে তো জানলেন কিন্তু কেন করবেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জনপ্রিয় ক্ষেত্র সমূহ
সোশ্যাল নেটওয়ার্ক : এটি ব্যবহারকারীদের অনলাইন কমিউনিটি যাতে বিভিন্ন তথ্য,ছবি,ভিডিও ইত্যাদি বিনিময় করা যায়।
উদাহরন : Facebook, Myspace
ব্লগিং এবং মাইক্রোব্লগিং : এটি জার্নালের মত ওয়েব সাইট যা তাৎক্ষনিক তথ্য আপডেট রাখে, মাইক্রো ব্লগিং হচ্ছে টেক্সট মেসেজের প্রকাশনা মাধ্যম।
উদাহরন : WordPress, Twitter
সোশ্যাল বুক মার্কিং : এটি ব্যবহারকারীকে তাদের পাওয়া কোন ওয়েব সাইটকে সংরক্ষন এবং বিনিময় করার সুযোগ প্রদান করে।
উদাহরন : Digg, Reddit
মিডিয়া শেয়ারিং : ছবি এবং ভিডিও বিনিময় সেবা প্রদান করে।
উদাহরন : Flickr, Youtube
স্যোসাল রিভিউ : ভ্রমনকারীদের বিভিন্ন হোটেল বা স্থান সম্পর্কে রিভিউ প্রদান করার সুযোগ প্রদান করে।যারা ভ্রমন করতে ইচ্ছুক তারা ইচ্ছে করলে এগুলো তাদের ট্রাভেল প্ল্যান হিসেবে তৈরী করতে পারে।
উদাহরন : Yelp, Tripadviser
ইউজার জেনারেটেড কনটেন্ট (ইউজিসি) : ট্রাভেল গাইড বা কোন তথ্যাদি যা ব্যবহারকারী কর্তৃক লিখিত।
উদাহরন : Wikitravel, World66
জেনে রাখতে পারেন কিছু সোশ্যাল বুক মার্কিং সাইট সম্পর্কেও
www.google.com/bookmarks
www.slashdot.org
www.digg.com
www.stumbleupon.com
www.reddit.com
www.squidoo.com
www.delicious.com
www.technorati.com
www.kojaxx.com
এবার আসা যাক সম্ভাবনাময় আউট সোর্সিং বা আয় সম্পর্কে
অনেক কিছুই তো জানা হলো সোশ্যাল মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, বুক মার্কিং ইত্যাদি সম্পর্কে। আরো জানলাম কেন করবো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।এবার জানবো এর মাধ্যমে কিভাবে টাকা আয় করা সম্ভব।আসলে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন অনেকগুলো এ্যাপ্লিকেশনের সমন্বিত মাধ্যম তেমনি এর মাধ্যমেও আপনি বিভিন্নভাবে আয় করতে পারেন।যেমন : আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন, মাইক্রো জবসাইট গুলোর মাধ্যমে, ফিক্সড প্রাইস অফারসাইট গুলোর মাধ্যমে, শুধুমাত্র ফেসবুক পেজের মাধ্যমে, টুইটারের মাধ্যমে। কি ব্যাপার কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না? বলছি শুনুন:
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে : আপনি ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদির মাধ্যমে বায়ারদের সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ করতে পারেন।
মাইক্রো জবসাইট গুলোর মাধ্যমে : মাইক্রোওয়ার্কার্স,জববয়, শর্টটাস্ক ইত্যাদি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্যোসাল নেটওয়ার্কিংয়ের কাজ গুলো করতে পারেন।
ফিক্সড প্রাইস অফার সাইটগুলোর মাধ্যমে : আপনি ফিভারার, জিগবাক্স ইত্যাদির মাধ্যমে ৫ থেকে ৫০ডলারের বিনিময়ে স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং কাজ করতে পারেন।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে : আপনি আপনার তৈরী ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও আয় করতে পারেন।তবে সেই পেজে সর্বনিম্ন ফ্যান থাকতে হবে ৫০০০+ এক্ষেত্রে সেই পেজে আপনি আপনার নিজস্ব পন্য বাএ্যাফিলিয়েট পন্যের (ইবে,এ্যামাজন,ক্লিকব্যাংক,সিজে ইত্যাদি) এ্যাড, থার্ড পার্টি কোম্পানীর ব্যানার এ্যাড প্রদর্শন, বিভিন্ন অফার প্রদানের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন।
টুইটারের মাধ্যমে : কিছু কিছু ওয়েব সাইট রয়েছে যে গুলো শুধুমাত্র তাদের পন্যের গুনাগুন টুইট করার জন্য টাকা দিয়ে থাকে।সেক্ষেত্রে আপনার টুইটার একাউন্টে ৫০০+ ফলোয়ার থাকতে হবে।এরকম একটি সাইট হচ্ছে স্পন্সরড টুইটস।
আজ আর নয়। আগামীতে আরো কিছু জেনে নিশ্চয়ই লিখবো, “কোন দেশ সবচাইতে বেশী এবং কোন কোন দেশে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ আছে”? “কিভাবে ফেসবুক লাইক ও টুইটার ফলোয়ার সংগ্রহ করবেন”?
সম্পাদনা কৈফিয়ত: ছবি ও লেখার উৎস ইন্টারনেট।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে।এবং সমগ্র বিশ্বকে একিভুত করার অন্যতম মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। by Rikta Rahman Rikta

Posted on

অনলাইন শপিং – বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসার সুফল

অনলাইন শপিং

অনলাইন শপিং

ভূমিকা: বাংলাদেশে অনলাইনে এখন বছরে এক হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। আর প্রতিদিন অনলাইনে ডেলিভারি দেয়া হয় ২০ হাজার অর্ডার৷ দেশে ওয়েবভিত্তিক অনলাইন শপ আছে এক হাজার৷ ফেসবুক ভিত্তিক আছে ১০ হাজারেরও বেশি৷ অনলাইন শপিং এসময় বাঁচে, শ্রম এমনকি অর্থও বাঁচে৷

বিবরন: অনলাইন ব্যবসায় তারা একটা সার্ভিস চার্জ নেয়৷ তবে তা তেমন বেশি নয়৷ কিন্তু নিজে শপিং সেন্টারে কিনতে গেলে সময় আর অর্থ দু’টোই যায়৷ আর ঢাকা শহরে যে ট্রাফিক জ্যাম তাতে শপিং বা বাজার করতে যাওয়া এক বিশাল যুদ্ধের ব্যাপার৷ বাংলাদেশে কর্মপদ্ধতির দিক থেকে অনলাইন শপিং-এর দু’ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে৷ এক ধরনের প্রতিষ্ঠান হলো, যারা পুরোটাই অনলাইন শপ৷ অনলাইনেই তাদের পণ্যের নমুনা এবং দাম দেয়া থাকে৷ ক্রেতারা অনলাইনেই পণ্য পছন্দ এবং অর্ডার করেন৷ ক্রেতাকে তাঁর বাসা বা ডেলিভারি পয়েন্টে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়৷ এমনি একটি অনলাইন শপ হল walibazar.com। যেখানে ভোক্তারা সকল ধরনের পন্য পেয়ে থাকেন। আরেক ধরনের হলো অনলাইন মার্কেট প্লেস৷ এখানে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় সক্রিয় থাকেন৷ কেউ পণ্য বিক্রির অফার করেন৷ আবার কেউ বা কিনতে চান৷ যোগাযোগটা অনলাইনের হলে বেচা-কেনা হয় ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে৷ আর এই কেনা-বেচায় অনলাইন মার্কেট প্লেসের কোনো দায় থাকে না৷ অনলাইন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সভাপতি ফাহিম মাশরুর ডয়চে বলেন‘‘আমাদের হিসেবে এখন শুধু অনলাইন ওয়েবসাইটেই (ফেসবুক বাদে) প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার অর্ডার প্রসেস হয়৷ বছরে টাকার হিসেবে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ কোটি টাকার লেনদেন হয়৷ আর অনলাইনে এখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে সব ধরনের পণ্যই পওয়া যায় – পোশাক, ঘড়ি, টুপি সবকিছু৷ এখন অনলাইনে টিকেট বিক্রিসহ আরো অনেক ধরনের সেবা দেয়া হয়৷ এমনকি স্বাস্থ্যসেবাও দেয়া হয় অনলাইনে৷ ফেসবুক লাইভের মাধ্যমেও দেয়া হয় চিকিৎসা পরামর্শ৷” তিনি জানান, ‘‘ঢাকা শহরে পণ্য ডেলিভারির সময় টাকা পরিশোধ করতে হয়৷ এছাড়া বিকাশ বা অন্য মাধ্যমেও টাকা লেনদেন হয়৷ আর ঢাকার বাইরে পণ্য পাঠানো হয় কুরিয়ার সর্ভিসের মাধ্যমে৷ সেক্ষেত্রে আগে পেমেন্ট করতে হয়৷” প্রকৃতির দিক দেয়ে আবার বাংলাদেশে দু’ধরনের অনলাইন শপ আছে৷ এক ধরনের হলো যারা নিজোরই ওয়েবসাইট খুলে পণ্য বেচা-কেনা করেন৷ আরেক ধরনের হলো ফেসবুকে পেজ খুলে কাজ করেন৷ ফাহিম মশরুর বলেন, ‘‘ওয়েবসাইট ভিত্তিক বড় ধরনের অনলাইন শপ ৪০টির মতো আছে এখানে৷ তবে ফেসবুকে কতগুলো আছে তা বলা মুশকিল। সুবিধা ও অসুবিধা: অনলাইন ক্রেতাদের মতে, আমি যে পণ্যটি কিনতে চাই তা কোথায় পাব? তার কোন মডেলটি আমি নেব? তার গুণাগুণ কী? এটা মার্কেটে ঘুরে ঘুরে বের করা এবং জানা কঠিন৷ কিন্তু অনলাইনে সহজেই জানা যায়৷ এছাড়া পণ্যটি যেহেতেু অনলাইনে পাওয়া যায়, তাহলে আর মার্কেটে যাওয়া কেন?তাছাড়া ঢাকা শহরের এই জ্যাম ঠেলে বাজার করতে যাবার চেয়ে অনলাইন শপিং ই উত্তম। অনলাইন শপিং-এ প্রতারণাও আছে৷ তেলাপোকা মারার একটি যন্ত্রের সুন্দর বিজ্ঞাপন দিয়ে অফার দিলো একটি অনলাইন শপ৷ কেনার পর দেখা গেল তেলাপোকা মরে না৷ প্রতিকার চেয়েও তখন তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না৷ কারণ তারা তখন হয়ত আমাকেই ব্লক করে দিয়েছে অথবা আমার স্ত্রীর জন্য একবার অনলাইন থেকে সালোয়ার কামিজ পছন্দ করলাম৷ ডেলিভারির সময় দেখি, অনলাইনে যে ছবি ছিল তার সঙ্গে মিল নেই৷ ওয়ান টাইম ব্যবসা আর কি!” প্রতারণার প্রসঙ্গটিতে ক্রেতারা জানান যে‘‘প্রতারণা আছে তবে তা শতকরা হিসেবে কম। অপকারের চেয়ে উপকারটাই অনেকখানি বেশি।

উপসংহার: বাংলাদেশে অনলাইনে বিক্রি এখন বেশ লাভজনক ব্যবসায়িক উদ্যোগে পরিণত হয়েছে। নতুন পুরাতন অনেক ব্যবসায়ীই এখন অনলাইনে বিক্রিকেই তাদের ব্যবসার পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনি সাধারন মানুষও।by Sumaya Siri

Posted on

বাংলাদেশে শাওয়ার

বাংলাদেশে শাওয়ার

বাংলাদেশে শাওয়ার

ভূমিকা: সাধারণত প্রতিদিন গোসল করাটাই নিয়ম বলে ধরে হয়। তাই কেউ সাধারণত বাধ্য না হলে গোসল না করে থাকে না। কিন্তু বিজ্ঞান কি বলে? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিজ্ঞান মতে দৈনিক গোসলের প্রয়োজনীয়তা অপ্রয়োজনীয়তা। সুবিধাও অসুবিধা: ডার্মাটোলজিস্টদের প্রতিদিন গোসল করাটা একেবারে জরুরী না হলেও বাংলাদেশের মতো আর্দ্র আবহাওয়ার দেশের জন্য প্রতিদিন গোসল করাটাই স্বাভাবিক অনেকের জন্য। তবে যারা প্রতিদিন গোসল করার ব্যাপারটাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন, তাদের সমর্থনেই কথা বলছেন গবেষকেরা। নিউ ইয়র্কের ডার্মাটোলজিস্ট ডক্টর জশুয়া জিকনার এর মতে, আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোর মানুষেরা আসলে অতিরিক্ত ঘন ঘন গোসল করে থাকে। মূলত সাংস্কৃতিক প্রভাবের কারনেই তারা প্রতিদিন গোসল করাটাকে জরুরী মনে করে থাকে। এদের দেখাদেখি উন্নয়নশীল দেশের মানুষেরাও দৈনিক গোসলকে অপরিহার্য বলে ধরে নেন। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পর বিভিন্ন সাবানের বিজ্ঞাপনে নিয়মিত গোসল করার ব্যাপারটাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। গবেষকদের মতে, আপনি শারীরিকভাবে কতোটা সক্রিয় তার ওপরে গোসলের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই নির্ভরশীল। যারা প্রতিদিন জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়ে আসেন তাদের জন্য দিনে একবার এমনকি একাধিকবার গোসল করাটা স্বাভাবিক এবং দরকারি। বাইরে ট্রাভেল করে শরীর ময়লা হয়ে গেলেও দরকারি গোসল। গ্রীষ্মকালে যে সময়ে কোন কাজ না করেই শরীর ঘেমে একাকার হয়ে যায় সে সময়েও দৈনিক গোসলটা জরুরী।। কিন্তু এ সময়ের কথা ভাবুন।। শীতকালে বেশ ভারী কাজ না করলে শরীর ঘামবে না, শরীর ময়লাও হবে না। এ সময়ে দৈনিক গোসল করাটা আসলে অতটা জরুরী নয়। এখানে আরেকটি ব্যাপারে জেনে রাখা দরকারি। শীতকালে আপনি যদি প্রতিদিন গরম পানিতে গোসল করতে থাকেন, তবে ত্বকের ক্ষতি বই উপকার হবে না। এর পাশাপাশি ত্বকের দরকারি ব্যাকটেরিয়াগুলোও পানির সাথে ধুয়ে চলে গিয়ে আপনার রোগ-বালাই হবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে। উপসংহার: দৈনিক গোসল না করে কতো ঘন ঘন গোসল করাটা জরুরী? উত্তপ্ত আবহাওয়া, ভারী কাজ বা ময়লা পরিবেশে না গেলে দুই-তিন দিন পর পর গোসল করাটাই যথেষ্ট। যদি বেশি জরুরী মনে হয় তবে শরীরের যেসব অঙ্গে ঘাম বেশি হয় ও ময়লা জমে সেসব অঙ্গ আলাদাভাবে ধুয়ে নিতে পারেন।