সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং :
ভুমিকাঃ সহজ ভাষায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। একসময় সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিলো চিঠি। ডাকপিয়নের সেকি কদর। কখন আসবে প্রিয়তমার হাতের লেখা ভালোবাসার চিঠি। ইন্টারনেট প্রযুক্তির ফলে বিশেষত:মোবাইল ব্যবহারে এ্যান্ডয়েড প্রযুক্তির উন্নয়ন ও এর ব্যবহার তথ্য ও যোগাযোগ মাধ্যমকে এমন এক পর্যায়ে আনা হয়েছে যে পৃথিবী এখন এক প্রকার আপনার হাতর মুঠোয়।
ইতিহাসঃ সোশ্যাল মিডিয়াকে অনেকেই অনেকভাবে উপস্থাপন করেছেন কিন্তু আমার মনে হয়েছে একটা গ্রহনযোগ্য সংজ্ঞা দিয়েছেন মাইকেল হেনলেন এবং
এনড্রিয়াস কাপলান,”সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক অনেক গুলো এ্যাপ্লিকেশনের সমষ্টি যেগুলো ওয়েব দুনিয়াকে আরো বাস্তবসম্মত ও প্রযুক্তি সম্পন্ন করে তুলেছে এবং যা ব্যবহারকারীকে তাদের নিজস্ব জগৎ সৃষ্টি এবং পারস্পরিক বিনিময় করতে সুযোগ প্রদান করে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ঘুরে আসতে পারেন “উইকিপিডিয়া ”।
গুনাগুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে নিশ্চয় একটা ধারনা ইতিমধ্যে হয়েছে আপনার। এবার বলুনতো একটা জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়ার নাম? জানি নিমিষেই সহজ উত্তরটা দিতে পারবেন। কিন্তু যদি বলি বর্তমান বিশ্বে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত? কোন দেশ সবচাইতে বেশী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে? কোন কোন দেশে কোন কোন সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ব আছে?
বিবরনঃ গুরুত্বপূর্ন সোশ্যাল মিডিয়ার নাম জেনে নেই
Photo Credit &; Edited from : Istock
www.facebook.com
www.twitter.com
www.plus.google.com
www.linkedin.com
www.tagged.com
www.myspace.com
www.orkut.com
www.quepasa.com
www.blogger.com
www.wordpress.com
www.flickr.com
www.picasa.com
www.google.com/buzz
www.badoo.com
www.bebo.com
www.buzznet.com
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে ব্যক্তিগত, ক্ষু্দ্রব্যবসা, বৃহৎ ব্যবসা এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচার মাধ্যম প্রক্রিয়া।সমন্বিত মার্কেটিং যোগাযোগ হচ্ছে একটি অসাধারন মাধ্যম যার মাধ্যমে খুব সহজেই কোন প্রতিষ্ঠানের টার্গেট মার্কেটে তাদের পন্য সম্পর্কে প্রচার করা যায়।সমন্বিত মার্কেটিং যোগাযোগের প্রধান উপাদান হচ্ছে এ্যাডভার্টাইজিং, ব্যক্তিগত বিক্রয়, পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন, প্রচার, সরাসরি মার্কেটিং এবং সেলস প্রমোশন।
স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং প্রোগ্রাম সাধারনত পাঠক বা ব্যবহারকারীকে আকর্ষন বা উদ্বুত করে কোন তথ্য অন্যদের সাথে স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানাতে।একটি ব্যবসায়ীক বার্তা ব্যবহারকারী থেকে ব্যবহারকারীর কাছে পৌছে যায় এর দ্বারা।শুধু তাই নয়, এটি অন্যসকল এ্যাডভার্টাইজিং মাধ্যম থেকে অধিক কার্যকর।সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংকে প্রকাশ করা হয় SMM (Social Media Marketing) বা SMO (Social Media Optimization) এর মাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে তো জানলেন কিন্তু কেন করবেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জনপ্রিয় ক্ষেত্র সমূহ
সোশ্যাল নেটওয়ার্ক : এটি ব্যবহারকারীদের অনলাইন কমিউনিটি যাতে বিভিন্ন তথ্য,ছবি,ভিডিও ইত্যাদি বিনিময় করা যায়।
উদাহরন : Facebook, Myspace
ব্লগিং এবং মাইক্রোব্লগিং : এটি জার্নালের মত ওয়েব সাইট যা তাৎক্ষনিক তথ্য আপডেট রাখে, মাইক্রো ব্লগিং হচ্ছে টেক্সট মেসেজের প্রকাশনা মাধ্যম।
উদাহরন : WordPress, Twitter
সোশ্যাল বুক মার্কিং : এটি ব্যবহারকারীকে তাদের পাওয়া কোন ওয়েব সাইটকে সংরক্ষন এবং বিনিময় করার সুযোগ প্রদান করে।
উদাহরন : Digg, Reddit
মিডিয়া শেয়ারিং : ছবি এবং ভিডিও বিনিময় সেবা প্রদান করে।
উদাহরন : Flickr, Youtube
স্যোসাল রিভিউ : ভ্রমনকারীদের বিভিন্ন হোটেল বা স্থান সম্পর্কে রিভিউ প্রদান করার সুযোগ প্রদান করে।যারা ভ্রমন করতে ইচ্ছুক তারা ইচ্ছে করলে এগুলো তাদের ট্রাভেল প্ল্যান হিসেবে তৈরী করতে পারে।
উদাহরন : Yelp, Tripadviser
ইউজার জেনারেটেড কনটেন্ট (ইউজিসি) : ট্রাভেল গাইড বা কোন তথ্যাদি যা ব্যবহারকারী কর্তৃক লিখিত।
উদাহরন : Wikitravel, World66
জেনে রাখতে পারেন কিছু সোশ্যাল বুক মার্কিং সাইট সম্পর্কেও
www.google.com/bookmarks
www.slashdot.org
www.digg.com
www.stumbleupon.com
www.reddit.com
www.squidoo.com
www.delicious.com
www.technorati.com
www.kojaxx.com
এবার আসা যাক সম্ভাবনাময় আউট সোর্সিং বা আয় সম্পর্কে
অনেক কিছুই তো জানা হলো সোশ্যাল মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, বুক মার্কিং ইত্যাদি সম্পর্কে। আরো জানলাম কেন করবো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।এবার জানবো এর মাধ্যমে কিভাবে টাকা আয় করা সম্ভব।আসলে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন অনেকগুলো এ্যাপ্লিকেশনের সমন্বিত মাধ্যম তেমনি এর মাধ্যমেও আপনি বিভিন্নভাবে আয় করতে পারেন।যেমন : আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন, মাইক্রো জবসাইট গুলোর মাধ্যমে, ফিক্সড প্রাইস অফারসাইট গুলোর মাধ্যমে, শুধুমাত্র ফেসবুক পেজের মাধ্যমে, টুইটারের মাধ্যমে। কি ব্যাপার কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না? বলছি শুনুন:
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে : আপনি ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদির মাধ্যমে বায়ারদের সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ করতে পারেন।
মাইক্রো জবসাইট গুলোর মাধ্যমে : মাইক্রোওয়ার্কার্স,জববয়, শর্টটাস্ক ইত্যাদি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্যোসাল নেটওয়ার্কিংয়ের কাজ গুলো করতে পারেন।
ফিক্সড প্রাইস অফার সাইটগুলোর মাধ্যমে : আপনি ফিভারার, জিগবাক্স ইত্যাদির মাধ্যমে ৫ থেকে ৫০ডলারের বিনিময়ে স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং কাজ করতে পারেন।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে : আপনি আপনার তৈরী ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও আয় করতে পারেন।তবে সেই পেজে সর্বনিম্ন ফ্যান থাকতে হবে ৫০০০+ এক্ষেত্রে সেই পেজে আপনি আপনার নিজস্ব পন্য বাএ্যাফিলিয়েট পন্যের (ইবে,এ্যামাজন,ক্লিকব্যাংক,সিজে ইত্যাদি) এ্যাড, থার্ড পার্টি কোম্পানীর ব্যানার এ্যাড প্রদর্শন, বিভিন্ন অফার প্রদানের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন।
টুইটারের মাধ্যমে : কিছু কিছু ওয়েব সাইট রয়েছে যে গুলো শুধুমাত্র তাদের পন্যের গুনাগুন টুইট করার জন্য টাকা দিয়ে থাকে।সেক্ষেত্রে আপনার টুইটার একাউন্টে ৫০০+ ফলোয়ার থাকতে হবে।এরকম একটি সাইট হচ্ছে স্পন্সরড টুইটস।
আজ আর নয়। আগামীতে আরো কিছু জেনে নিশ্চয়ই লিখবো, “কোন দেশ সবচাইতে বেশী এবং কোন কোন দেশে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ আছে”? “কিভাবে ফেসবুক লাইক ও টুইটার ফলোয়ার সংগ্রহ করবেন”?
সম্পাদনা কৈফিয়ত: ছবি ও লেখার উৎস ইন্টারনেট।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে।এবং সমগ্র বিশ্বকে একিভুত করার অন্যতম মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। by Rikta Rahman Rikta